সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম
সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম(ভাল অভ্যাস)-
|
সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়া করার নিয়ম |
সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম -আপনারা কেউ কি কোন সময় ভেবে দেখেছেন পড়াশোনা করার ব্যাপারে ? অথবা কি করে নিয়মিত ভাবে লেখাপড়া করা যায় ? আর তাই আজকে আমাদের এই আর্টিকেলের সেই সকল বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত সকল তথ্য আলোচনা করব সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।
আপনাদের ভিতরে অনেকেই হয়তো সারাদিনের 24 ঘন্টার ভিতরে 8 থেকে 9 ঘন্টা পড়াশোনা করেন(ভাল অভ্যাস) , আবার কেউ কেউ হয়তোবা দুই হাতে তিন ঘন্টা পড়াশোনা করেন করে থাকেন ।
অনেকে আছেন যারা আবার সারাবছর ক্লাস আর কোচিং করতে করতে হাঁপিয়ে গিয়ে থাকে । অনেকেই আবার আছেন যারা শুধুমাত্র নামমাত্র ক্লাস করেছে ক্লাসে কি পড়ানো হয়েছে তার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝেন নাই । শুধু ক্লাস করেই গেছেন করে গেছেন এরকম অনেক স্টুডেন্ট ও আছেন । অনেকেই আছেন যারা অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেন , আবার এমন অনেকে স্টুডেন্ট আছে যারা সারা বছর পড়াশোনা করে না কিন্তু পরীক্ষার আগের রাতে ভর্তি থাকে শুধু সারারাত শেষ করে দেবো দেবো আর সারাবছর খবর ছিলনা পরীক্ষার আগে তিনি সব পড়া তার মনে পড়ে যায় এরকম অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে আমাদের দেশে ।
এমন অনেকে স্টুডেন্ট আছে যারা একটা পড়া বারবার পরেও মনে রাখতে পারেন না পড়েন তার পরে আবার ভুলে যান । আবার কেউ কেউ এমন আছেন যারা একবার দুইবার পরে সেটাকে অনেকদিন ধরে মনে রাখতে পারেন অর্থাৎ মনে গেঁথে রাখতে পারেন বললেন না সেই কথাটা মানে সেই পড়াটা ।
আপনারা যদি ক্লাসে আপনাদের ক্লাস একটু খোঁজখবর নেন তাহলে এরকম অনেক শিক্ষার্থী আপনারা পেয়ে যাবেন দেখবেন যে তারা অনেকবার পরেও মনে রাখতে পারে না আবার অনেক অনেক শিক্ষার্থী একবার পড়ে অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারে । আসলে কিন্তু উপরে লেখা জিনিসটাই এই রকমেরই সেটা আসলে সকলে করতে না চাইলেও তারা বাধ্য হয়ে করে । আজকের পরেও এই টক জিনিসটাকে যদি কারো মিষ্টি লেগে যায় তাহলে সেটা অন্য একটা ব্যাপার সেটা আলাদা কথা ।
পড়াশোনা করার সঠিকনিয়ম জেনেনিন
তবে একটা কথা অবশ্যই সত্যি যে সেটা হচ্ছে , লেখাপড়া করাটা মোটেও কিন্তু কোনো সহজ কোনো একটা বিষয় নয় । আর বিশেষ করে কিন্তু নতুন ক্লাস শুরু করেন অথবা আপনারা যদি নতুন সেমিস্টার শুরু করতে গিয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাদের ভিতরে একটা ভীতি তৈরি হয়ে যাওয়া কিন্তু কোনো অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার না এটা স্বাভাবিক হতে পারে আপনাদের মাঝে ।
স্কুল কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় এর একাডেমিক এর যে সিলেবাস টা থাকে সেটা কিন্তু আসলে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে , এখানে একটা কথা আছে আর সেটা হচ্ছে যে আপনাদের সিলেবাস যদি সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে থাকে , তাহলে কোন সমস্যা নাই কেউ না এমন কিছু টেকনিক বা পদ্ধতি যাই বলেন না কেন রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনারা ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন অনায়াসেই ।
আর তাই আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো যে কী করে পড়াশোনা টা কে আগের থেকে আরো সহজ করে তুলবেন সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো । আর তার সাথে আরও কিছু সাজেশন আপনাদেরকে বলবো যে সকল বিষয়গুলো মেনে চলে আপনাদের লেখাপড়া আগের থেকে আরো অনেক সহজ হয়ে যাবে তাহলে আসুন জেনে নেই সেই সকল টিপস গুলো ।
আত্মবিশ্বাসকেবাড়িয়েনিন
সব কিছু করার আগে আপনাদেরকে আপনাদের নিজেদের যে আত্মবিশ্বাস আছে সেটাকে প্রথমে বাড়িয়ে নেওয়া লাগবে । একটা কথা আপনার সব সময় মাথায় রাখবেন যে আত্মবিশ্বাস যদি আপনাদের বেড়ে যায় তাহলে যেকোনো কাজে আপনার দ্বারা করা সম্ভব তাহলে আপনাদের দ্বারা হঠাৎ আপনাদের কোন কাজ অসম্ভব বলে মনে হবে না পারবেন না এরকম কোন কিছু মনে হবে না সবার প্রথমে আত্মবিশ্বাস টাকে আপনাদের ভালো লাগবে । নিজের ওপরে আস্থা রাখবে বিশ্বাস রাখবেন । পারবো না কিংবা আমার দ্বারা হবে না এই সকল বিষয় সম্পর্কে ভাবলে কিন্তু আপনাদের লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণ সবথেকে বেশি হতে থাকবে ।
পড়াশোনার বেলাতেও ঠিক সেটাই হবে । আপনারা যদি পরীক্ষার দিয়ে তারপরে যদি চিন্তা করে থাকেন জনকে করে ফেল করব আমার পরীক্ষা ভালো হয়নি আমি অবশ্যই করবো এই চিন্তা যদি আপনারা কত থাকে তাহলে আপনাদের যত বেশি সেটা কমে যাবে । আর তাই আপনাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চেষ্টা করবেন সবসময় তাহলেই হবে ।
নিয়মিতহবারচেষ্টাকরবেন
নিয়মিত লেখাপড়া করবার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রত্যেকদিন আপনাদেরকে ক্লাস করতে হবে । যতটা পারবেন ততটাই ক্লাসে সব সময় উপস্থিত থাকবেন চেষ্টা করবেন ক্লাস মিস করবেন না । আর আপনাদের পক্ষে সবথেকে ভালো হয় যদি সকল ক্লাসে জয়েন করতে পারেন অর্থাৎ অ্যাটেন্ড করতে পারেন । আপনারা যদি কোন কারনে কোন একটা ক্লাস মিস করে থাকেন তাহলে কিন্তু পরে ক্লাসে যদি চান তার পরে কিন্তু সেগুলো আপনারা আগের ক্লাস গুলো পড়ানো হয়েছে সেগুলো জানবেন না আপনার কিন্তু পরের ক্লাসে যদি করেন তাহলে কিন্তু আপনারা সেগুলো কিছুই বুঝতে পারবেন না । আর এর ফলে কিন্তু আপনাদের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়ে যেতে থাকবে । তাই নিয়মিত ক্লাসে এটেন্ড করবার চেষ্টা করবেন ।
আর বর্তমানে এখন যেহেতু করোনাভাইরাস এর কারণে সকল স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ তাই আপনাদেরকে অনলাইনের ক্লাসের ক্ষেত্রেও এই নিয়মটা কে অবশ্যই পালন করতে হবে । যতটা পরিমাণে সম্ভব আপনারা এটা পালন করবার চেষ্টা করবেন । সরাসরি ক্লাস হচ্ছে না বলে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে বলে যদি আপনারা এটাকে হেলাফেলা করে দেন তাহলে কিন্তু আপনাদের আর কিছু করার থাকবে না । প্রতিদিন ক্লাস করবেন তার পরের ক্লাসে যদি অ্যাসাইনমেন্ট কিংবা প্রেজেন্টেশন দিয়ে থাকে তাহলে সেগুলো কি আপনারা অবশ্যই অবশ্যই কমপ্লিট করে দিবেন ।
রুটিন তৈরি করে নিবেন
আপনারা আপনাদের নিজেদের সুবিধামতো করে একটা রুটিন বানিয়ে নেবেন । রুটিন যখন পারবেন তখন আপনাদেরকে সেই সময়ে কিন্তু যে সাবজেক্ট যে সাবজেক্টে বেশি মনোযোগ দিতে হবে । সাবজেক্ট আপনাদের কাছে কঠিন মনে হবে সেই সাবজেক্ট এর জন্য আপনারা একটু বেশি সময় দিবেন রুটিনে । আর যে সাবজেক্ট আপনাদের কাছে সহজ মনে হয় সেই সাবজেক্টটা এর জন্য কিন্তু আপনারা কোন সময় বরাদ্দ করতে পারেন অর্থাৎ রুটিনে কম সময়ে লিস্ট করতে পারেন । এক্ষেত্রে আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে যেন কম করতে গিয়ে যেন একেবারেই কম না হয়ে যায় সেদিকেও খেয়াল রাখা লাগবে । রুটিনে আপনারা লেখাপড়ায় সাথে সাথে যদি মুভি দেখা কিংবা গান শোনার জন্য যদি আপনারা একটি সময় নির্ধারণ করে দেন রুটিনে তাহলে কিন্তু সেটা খুব একটা মন্দ হয় না ।
বই সাথেই রাখবেন–
আপনারা যে রুটিনটা করবেন সে রুটিন অনুযায়ী আপনারা সেই বইটাকে সাথে রাখবার চেষ্টা করবেন অবশ্যই । অন্য কেউ বই আনবে আর আপনি সেই বইটি পড়বেন সেই আশাতে কখনোই থাকবেন না । অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি যে , অন্যের বইয়ের উপরে একেবারেই ভরসা করবেন না । কারণ যে বই আনবে সে আপনাকে নাও দিতে পারে , অথবা এমন হতে পারে আপনি যার কাজ দিয়ে নিবেন ভাবছিলেন ক্লাসে গিয়ে দেখলেন যে সে নিজেই জানি না তখন কি করবেন । নিজের কাছে যদি বই থাকে তাহলে যে সুবিধাটা হবে আপনাদের জন্য সেটা হচ্ছে যে দরকার হলে কোন লাইন আন্ডারলাইন করতে পারবেন যে পয়েন্টগুলা গুরুত্বপূর্ণ সেইগুলো অর্থাৎ ইম্পর্টেন্ট লাইনগুলোকে আপনারা দাগিয়ে রাখতে পারবেন ।
কিন্তু এখানে একটা কথা আছে যে আপনাদের যদি বইগুলো অনেক ভারী হয়ে থাকে তাহলে আপনারা অর্থাৎ আপনাদের বইগুলো যদি বেশি পরিমাণে ভারী হয়ে থাকে তাহলে আপনারা কিন্তু সে গুলোকে পিডিএফ আকারে নিয়ে যেতে পারেন অথবা পিডিএফ এর কপি রেখে দিতে পারেন । অথবা যেদিন সেই সাবজেক্ট এর বিষয় নিয়ে গেলে সে আলোচনা করবে কি সাবজেক্ট নিয়ে অর্থাৎ সেই সাবজেক্ট এর বইটা আপনারা ফটোকপি করে রাখতে পারেন । অথবা আপনারা আপনাদের প্রয়োজনই সম্পূর্ণ বইটি স্বাধীনতা নিয়ে যেটুকু দরকার সেটুকু পার্ট পার্ট করে ও আপনাদের সাথে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে আর বেশি ওজন হবে না বই নিতে আর আপনাদের তাহলে সমস্যা হবে না কোন ।
শিক্ষকদেরকে মেনে চলবেন(সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম )
শিক্ষকের ক্লাসের ভিতর যে সকল বিষয়গুলো নিয়ে লেকচার দেবে অথবা আলোচনা করবে সেই সকল বিষয় গুলো মনোযোগ সহকারে শুনতে থাকবেন । তিনি যে বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়াবেন সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনারা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করবেন সবসময় । আর সে যদি কোনো মুভি কিংবা আর্টিকেল অথবা জার্নালের রেফারেন্স দিয়ে থাকেন তাহলে আপনারা সে গুলোকে সংগ্রহ করে নেবার চেষ্টা করবেন অবশ্যই । আর আপনাদের উপরে যদি কোনো ধরনের অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা তাদের কাছে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করতে পারেন একবার না বুঝলে তাদের কাছে 100 বার প্রশ্ন করবেন তাতে ও তারা কিছু মনে করবে না ।
ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার উপায় |
কেননা তারা আপনাকে শিখাতে এসেছে আপনারা যতক্ষণ না পর্যন্ত বুঝতে পারবেন ততক্ষন পর্যন্ত কিন্তু তাদের কাছে প্রশ্ন করতে থাকবেন কারণ তাদের একটা দায়িত্ব পেতে পারেন এটা তাদের কর্তব্য শিখাতে এসেছে তাই যতক্ষণ না বুঝবেন তাদের কাছে প্রশ্ন প্রশ্ন করতে থাকবেন । এভাবে প্রশ্ন করতে করতে আপনারা জেনে যাবে সবকিছু ।
লেকচার সংগ্রহকরতে থাকুন(ভাল অভ্যাস)
ক্লাসে লেকচার তোলার অভ্যাস গড়ে তুলবেন আপনারা । প্রত্যেকটা সাবজেক্টের করছি জন্য আপনারা আলাদা আলাদা খাতা বানিয়ে নেবেন (ভাল অভ্যাস)। যাতে করে আপনারা ক্লাসের সকল লেকচারগুলো খুব সহজে নোট করে নিতে পারেন যাতে আপনাদের পরে খুঁজতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য সকল বিষয় গুলো আপনারা নোট করে নিতে পারেন ।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে শিক্ষকেরা যেটুকু পড়ায় সেটাকে কি সম্পূর্ণ নোট করে রাখব নাকি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে করে রাখবো , আসুন এটা সম্পর্কে জেনে নেই , গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোই শুধুমাত্র তুলে রাখবেন সব গুলো তুলে রাখা লাগবে না আপনাদের । পরীক্ষার সময় শুধু এই পয়েন্ট গুলো দেখলেই কিন্তু আপনারা সিলেবাস সম্পর্কে এটা মোটামুটি ধারণা পেয়ে যাবেন আশা করি ।
অনেক রকমের ক্লাসের নোট আর তার সাথে বিভিন্ন প্রকারের লেকচার সাজাতে পারেন আপনারা আপনাদের নিজেদের সুবিধার্থে অর্থাৎ নিজেদের মনে রাখার সুবিধার্থে । জ্যামিতি এর আকারে কিংবা গাছের সেইপ আকারে এইগুলোকে কিন্তু সাজিয়ে নিতে পারেন আপনারা আপনাদের সুবিধা মতন করে । তীর চিহ্ন ব্যবহার করতে পারেন সিরিয়ালগুলো কে মেন্টেন করবার জন্য । ছন্দে ছন্দে মনে রাখবার জন্যে কিন্তু যে সমস্ত টেকনিক আছে সেগুলো ফলো করতে পারেন অর্থাৎ সেইগুলোকে আপনারা কিন্তু ব্যবহার করতে পারেন আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে ।
দরকারি জিনিস মুখস্তকরে রাখুন(ভাল অভ্যাস)
লেখাপড়ার মানে কিন্তু তোতা পাখি দের মধ্যে মুখস্থ করে সেটাকে খাতায় লেখা টাইনা শুধু । আপনার সাথে মুখস্ত করবেন না মুখস্ত করার সাথে সাথে সেইগুলোকে আপনাদেরকে বুঝে শুনে তারপরে পড়া লাগবে । যে যে বিষয়টা নিয়ে পড়েন না কেন সেটা মনোযোগ দিয়ে আর খেয়াল করে তারপরে পড়বেন । কিন্তু তারপরেও কিছু দরকারী গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যেগুলো আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে আর সেজন্য তাদেরকে সেগুলো মুখস্ত করার দরকার পড়বে ।
· ইটেল বা নাম
· বানান
· গুরুত্বপূর্ণ সাল
· কোনকিছুর সংজ্ঞা
· ঐতিহাসিক ঘটনা ইত্যাদি।
উপরে যে লিস্ট আমি দিলাম এইগুলো যদি আপনারা ভালোভাবে খেয়াল করেন তাহলে অর্থাৎ উপরের লিস্ট গুলো যদি ভালো করে মুখস্ত করে নেন তাহলে কিন্তু , আপনাদের দরকারের সময় মনে করার জন্য কোন প্রকার কষ্ট করা লাগবেই না ।
মার্ক করাটা জরুরী (সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম )
গুরুত্বপূর্ণ যে সকল লাইন পাবেন সে সকল লাইনগুলোকে আপনারা একটা যেসকল লাইনগুলো দরকারি সেগুলো কি আপনারা মার্ক করে রেখে দিতে পারেন পরে কাজে লাগবে । ইচ্ছে করলে কিন্তু বিভিন্ন রকমের কালি যেমন লাল নীল হলুদ কিংবা অন্য যে কোন কালারের কলম ব্যবহার করতে পারেন এই মার্ক এর কাজ করার জন্য । অর্থাৎ কোন চ্যাপ্টারে কোন কোন বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে আপনাদের ক্লাস এ সেই সকল বিষয়গুলোকে । অথবা তার সাথে আপনারা কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের কাছে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো কি আপনার এটা আঠালো কাগজে পয়েন্ট করে পয়েন্ট করে করে সেগুলো কে লিখে রেখে দিতে পারেন পরে আপনাদের কাজে আসবে এইগুলো ।
সামারি পড়ে নিতে পারেন(সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম )
টেক্সট আকারে যে বই থাকে আপনাদের জন্য সেগুলো পড়ার জন্য অবশ্য বাধ্যতামূলক সেগুলো আপনারা কখনো অবহেলা করবেন না । এটাই বলেছি আপনারা সামারি পড়তে পারবেন না সেটা কিন্তু আমি বলতেছি না , আপনার ইচ্ছে করলে কিন্তু অনলাইন হতে সামারি পড়তে পারেন তাতে কিন্তু কোন সমস্যা নেই । কিন্তু চেষ্টা করবেন যে কোন একটা ওয়েবসাইট থেকে না পরে গুগলে খুঁজে তিন–চারটা কিংবা তার বেশি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য খুজে তারপরে সামারি গুলো পড়তে । এর কারণ হচ্ছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকমের সামার এগুলো পাবলিশ করা হয়ে থাকে তাই আপনারা ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে এই সামারি গুলো পড়ে নিবেন তাহলে আপনাদের সুবিধা হবে ।
একটা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন হয়তো আপনারা যে তারা অনেক ছোট আর পয়েন্ট আকারে অর্থাৎ টু দ্য পয়েন্ট আকারে লেখা আরো অন্য একটা ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখবেন যে তারা একটু অন্যভাবে লিখেছে একটু বড় করে সামারি তারা লিখেছে ভিন্ন উপায়ে প্রথম যে ওয়েবসাইটে লেখা গুলো দেখছেন সেরকম না তারা অন্য রকম করে লিখেছে । আর তাই এই রকমের যে কয়টা ওয়েব সাইটে যাবেন সেগুলোতে রকম দেখতে পাবেন এক একটি ওয়েবসাইট একরকমের লেখা আশা করি বুঝতে পেরেছেন । আর তাই, সামারি পড়বার সময় আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট ফলো করবেন । একটা থেকে কখনোই পড়তে যাবেন না ।
ইংরেজী গল্প, কবিতা, উপন্যাসের সামারি এর জন্য কিছু ওয়েবসাইটের লিঙ্ক আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি এইগুলো অনেক ভালো ওয়েবসাইট এইগুলোকে আপনারা ফলো করতে পারেন ।
· Shmoop
গুছিয়ে রাখবেন
পরীক্ষার সময় যাতে সবকিছু খুঁজে পাওয়া যায় খুব সহজেই সেজন্য আপনারা সকল কিছু অর্থাৎ আপনাদের যে জিনিস গুলো লাগে সেগুলো গুছিয়ে রেখে দেবেন । আপনারা চাইলে কোর্স প্রতি একটা ফাইল বানিয়ে নিতে পারেন । কম্পিউটারে ফোল্ডার বানিয়ে তারপরে রেখে দিতে পারেন । আপনি ইচ্ছে করলে সে গুলোকে পিন করে রেখে দিতে পারেন আপনাদের সুবিধার্থে ।
প্রযুক্তি নির্ভর হতে যাবেন না(সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম )
বর্তমানে এখন এই ডিজিটাল যুগে অনলাইনে শেখার জন্য পেতে এখন অনেক বেশী আগের থেকে । পাঠ্যবইয়ের সাথে সাথে কিন্তু অনলাইন হতে জ্ঞান করা যায় খুব সহজেই । তবে প্রযুক্তিকে কাজে বেশি না লাগানোই ভালো আপনাদের জন্য । বই পড়ার সময় চেষ্টা করবেন ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার না করতে ক্রোম ব্যবহার করবেন আর এতে আপনারই লাভ হবে । আপনারা যখন গুগোল কিংবা ইউটিউবে সার্চ করতে যাবেন তখন কিন্তু আপনাদের মনোযোগ চলে যেতে পারে ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামে । আর এর ফলে কিন্তু আপনাদের নিজেদেরই ক্ষতি হবে এটা মাথায় রাখবেন ।
· ফলাফল কি হবে এর আসুন জানি (সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম )-
সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনাদের যে পড়ার সময় ঠিক করবেন আপনাদের পড়ার লিস্টে সেটা আপনারা সোশ্যাল মিডিয়াতে নষ্ট করে ফেলেন তাহলে আপনারা পড়বেন কোন সময় পড়ার সময় পাবেন না বরং শুধু শুধু আপনাদের সময় নষ্ট হয়ে যেতে থাকবে । আক্তাই সবসময় চেষ্টা করবেন electronics-gadgets সেই সকল গেজেট হতে পারে তাতে অনলাইন হতে দূরে থাকতে । ব্যবহার করবেন কিন্তু অল্প ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন বেশি ব্যবহার করতে যাবেন না তাহলে আপনাদের অন্য দিকে মনোযোগ চলে যাবে আর আপনাদের সময় নষ্ট হতে থাকবে । মনে রাখবেন এটা সকল একটা পরিমাপ আছে সেই পরিমাপের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন লিমিটের বাইরে যাবার চেষ্টা করবেন যে লিমিট এ আছেন সেই লিমিট এই থাকবেন তাহলেই হবে ।
আর আপনারা আপনাদের মোবাইলে প্লে স্টোরে মনোযোগ ধরে রাখার জন্য কয়েকটা অ্যাপস পেয়ে যাবে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন । বলতে পারেন যে এই সকল অ্যাপস দিয়ে আমরা কি করব আসলেই সকলের অ্যাপসগুলো আপনাদেরকে মূলত স্মার্টফোনের কম্পিউটার হতে দূরে রাখবে ।
অ্যাপস গুলো আপনাদেরকে সহজ সহজ কয়েকটা টাস্ক দিতে থাকবে , আর সেই গুলোকে পূরণ করবার মাধ্যমে আপনারা কিন্তু আপনাদের মনোযোগটা কে বাড়িয়ে নিতে পারবেন খুব সহজে । আপনাদের যদি বিশ্বাস না হয় তাঁকে আমার কথা তাহলে আপনারা নিজেই এই অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন যে আমার কথাগুলো সত্যি কিনা আমি আপনাদের সুবিধার্থে সেই অ্যাপস গুলোর লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি –
· Forest
· Flip
আমাদের শেষ কথা (সঠিক পদ্ধতিতে লেখাপড়ার নিয়ম )
এইগুলোই ছিল আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় । আসলে কিন্তু পড়াশোনা করবে কোন নির্দিষ্ট করে কোন নিয়ম নেই । এখানে হঠাৎ উপরে যে নিয়মগুলো কথা আমি বলেছি আপনাদের সাথে এগুলো কিন্তু খুবই সাধারণ নিয়ম , যেগুলো স্কুল–কলেজে যারা পড়ে তারা সকলেই ফলো করে থাকেন । আর এই নিয়মগুলো যদি আপনারা ফলো করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনারা কম্পরে পরীক্ষাতে ভালো মার্ক পেতে পারবেন ।
আর আমাদের এই 11 টি টিপস শেয়ার করেছি আজকে পড়াশোনা করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে সেই গুলো বাদে যদি আপনাদের কারও এর থেকে কোনো সহজ পদ্ধতি জানা থাকে থাকে তাহলে আপনার আমাদেরকে কমেন্ট করে সেগুলো জানিয়ে দিতে পারেন ।
তথ্য – প্রিয় ক্যারিয়ার