Information

সর্বজনীন পেনশন বাস্তবায়ন বাংলাদেশে

সকলের জন্য সর্বজনীন পেনশন চালু বাংলাদেশে-

আপনি কি বাংলাদেশের নাগরিক? আপনি কি আপনার বাধ্যকের দিনগুলি নিয়ে চিন্তিত। আর নয় চিন্তা, বদলে যেতে চলেছে প্রতিটি মানুষের ভবিস্যত। আপনার বয়স যদি ১৮-৫০ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার জাতীয় পত্রের বিপরীতে নিধারিত পরিমান টাকা প্রতিমাসে প্রদান করে পেনশন চালু করতে পারবেন। ক্রয় ও অথ সংকান্ত কমিটির সভায় এ পেনশন নিয়ে আলোচনা করা হয়। খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন হতে চলেছে সকলের জন্য পেনশন ব্যবস্থা। এই আটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন কারা পেনশন পাবেন, কত টাকা জমা দিতে হবে, কত বছর জ্মা দিতে হবে, কোথায় জমা দিতে হবে, পতিমাসে কত টাকা পাব ইত্যাদি ।

 

নাগরিক পেনশনের বিস্তারিত-

বাংলাদেশ সরকার সরকারী কমচারীদের পাশাপশি সকল নাগরিকের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। সকল ১৮-৫০ বছরের নাগরিক তার জতির পরিচয় পত্রের বিপরীতে পেনশন হিসাব খুলতে পারবে।

প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে ১৮ বছর বয়স থেকে ১হাজার টাকা করে প্রতিমাসে জমা দিতে হবে ৬০ বছর পযন্ত মোট ৪২ বছর টাকা জমা দিতে হবে। ৬0-৮০ বছর পর্যন্ত যদি ঐ ব্যক্তি বেঁচে থাকে তাহ্ললে ১ হাজার টাকা জমার বিপরীতে সে প্রতি মাসে ৬৪,৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন। আর যদি কোন ব্যক্তি ৩০ বছর বয়স হতে পেনশন চালু করে তাহলে ৬০ বছর পর প্রতিমাসে ১৮,৯০৮ টাকা করে পেনশন পাবে। আর যদি কেউ ১ হাজার টাকার পরিবর্ত ২ হাজার টাকা জমা করে তবে পেনশনের পরিমানও সমপাতিক হারে বৃদ্ধি পাবে।

 

সার্বজনীন পেনশনের কতিপয় শর্তাবলী-(সর্বজনীন পেনশন চালু বাংলাদেশে)

  •  ১৮-৫০ বছর বয়সের সকল নাগরিক পেনশন ব্যবস্থার আওতায় থাকবে।
  • বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মচারীরা পেনশন ব্যবস্থার আওতায় থাকবে।
  • সরকারি কর্মচারীদের বেলায় পরবর্তিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।
  • প্রথমে এ পদ্ধতি স্বেচ্ছাধীন থাকবে পরে বাধ্যতামূলক করা হবে।
  • কমপক্ষে ১০ বছর ধারাবাহিক ভাবে চাঁদা প্রদান করলে তবেই পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবে।
  • প্রতেকের একটি আলাদা পেনশন হিসাব থাকবে।
  • সাজনীন পেনশন পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণের সুযাগ থাকবে।
  • মসিক চাদার হার নির্ধারন করা থাকবে,তবে প্রবাসীরা ৩ মাস অন্তর টাকা জমা দিতে পারবে।।
  • বিলম্ব ফি সহ টাকা জমা দেওযার ব্যবস্হা থাকবে।
  • অগ্রিম চাদা ওদান করা যাবে।
  • শুধু মাত্র ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলেই পেনশন দেওযা হবে।
  • মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা পাবে।
  • পেশশন গ্রহিতা ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলে নমিনি বাকি সময়ের জন্য পেনশন পাবেন।
  • পেনশনের টাকা কেউ এককালীন উত্তোলন করতে পারবেন না তবে ৫০% ঋণ হিসাবে নিতে পারবে এবং সুদ সহ ফেরত দিতে হবে।
  • ১০ বছর টাকা জমা দেওয়ার পর কেউ মারা গেলে জমানো অর্থ সুদ সহ নমিনীকে ফেরত দেওয়া হবে।
  • মাসিক পেনশন বাবদ অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

আরও জানতে-

  1. ম্যানেজমেন্ট সাবজেক্ট রিভিউ
  2. সার্টিফিকেট সংশোধন অনলাইন। Certificate correction online
  3. NID কার্ড সংশোধন অনলাইন 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button