Information

কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব ?

কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব ?

 

কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব ? 

 
ক্যারিয়ার গঠন  বা স্বনির্ভর বলতে আমরা কি বুঝি ? আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলা যায় । স্বনির্ভর বা আত্মকর্মসংস্থান  বলতে আমরা কাজের সুযোগ নিজেই  সৃষ্টি করাকে বূঝায় । আমরা অনেকে অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য জীবন দিয়ে দেই । আবার অনেকে অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাই না । অনেকের যোগ্যতা থাকা সত্বেও ভালো চাকুরি খুজে পায় না কারন সে যোগ্যতা অনুযায়ী ভাল চাকুরি পাই না। ফলে আমাদের পক্ষে টাকা আয়ের অভাবে নিজের ও পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তখন আমরা আর চাকুরির পিছে না ঘুরে নিজেই স্বনির্ভর বা আত্মকর্মসংস্থান করার চেষ্ঠা করি। তাহলে  দেখা যাক আমরা কিভাবে নিজে নিজেই আত্মকর্মসংস্থান  করতে পারি । ক্লিক করুন
চলুন আমরা দেখি কোন কাজের মাধ্যমে নিজেই আত্মকর্মসংস্থান করতে পারি –
 
 
১. ফসল চাষাবাদের মাধ্যমেঃ
 
বর্তমানে আত্মকর্মসংস্থানমূলক যেকোন কাজের জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের নিকট থেকে লোন নিয়ে কৃষি প্রশিক্ষ্নের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ফসল চাশাবাদ করে আমরা  আত্মকর্মসংস্থান  করতে পারি । ক্লিক করুন
 
 
২. গবাদিপশু পালনঃ
গবাদিপশু পালন করে স্বনির্ভর বা আত্মকর্মসংস্থান করা সম্ভব । গবাদিপশুর খামার করতে পারেন। গবাদিপশুর খামার করার মাধ্যমে দুধ ও মাংসের ব্যবসা করে ভালো আয় করা সম্ভব। গরুর খামার করার জন্য আপনাকে স্হানীয় প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে গবাদি পশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করতে হবে। তাহলে তারাই আপনাকে সকল প্রকার আর্থিক  সহযোগিতা সহ সুপরামর্শ দিবে। (কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব ? How to build a career?) click here
৩. মৎস্য চাষ: 
বর্তমানে মৎস্য চাষ করে বহু বেকার যুবক আত্ননির্ভরশীল হয়েছে। আপনি চাইলে নিজের পুকুর বা অন্যের পুকুর লিস নিয়েও মৎস্য চাষ করতে পারবেন। মৎস্য চাষের পাশাপাশি হ্যাচারি বা মাছের পোনা উৎপাদন করতে পারেন। আপনাকে এজন্য স্হানীয় মৎস্য  অফিসে গিয়ে তাদের সাথে পরামর্শ করলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
 
৪. কুটির শিল্প বা ক্ষুদ্র পোশাক শিল্প :
আপনি যদি কুটির শিল্পে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের স্হানীয় অফিসে যোগাযোগ করে নকশা তৈরি,পোশাক তৈরি,মৃৎ ও হস্তশিল্পে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনি চাইলে নিজ বাসার  কক্ষ ব্যবহার করে ক্ষুদ্র পোশাক কারখানা করতে পারেন। প্রয়োজনে গ্রামের দরিদ্র  মহিলাদের সেলাই ও পোশাক নকশার উপর প্রশিক্ষণ দিতে পারেন।
৫.  ক্ষুদ্র ব্যবসা :
আপনি যদি নিজের এলাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে স্হানীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করে  বা বড় বড় কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে  ডিলার নিতে পারেন। এজন্য আপনার অধিক মুনাফার প্রয়োজন হবে না। কোম্পানিগুলো আপনাকে পণ্য সরবরাহ করে যাবে। এসব পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে নিজেকে আত্ননির্ভরশীল করে তুলতে পারবেন। (কিভাবে ক্যারিয়ার গঠন করা সম্ভব ? How to build a career?)
 
৬. বুটিক সপ: 
বুটিক খোলার আগে আপনাকে অবশ্যই কাপড় এবং অন্যান্য উপকরণের সাথে পরিচিত হতে হবে। কোলকাতার বুটিক ব্যবসায় বিভিন্ন গুণের উপকরণ কোথায় পাওয়া যায় তা বোঝা, যেমন তুলা, সিল্ক, জর্জেট এবং নেট ইত্যাদি। একটি কাপড়কে তার চেহারা দ্বারা চিনুন, যেমন বিশুদ্ধ তুলা বনাম মিশ্রিত তুলা। পোশাক তৈরি করতে, আপনার সুতা, কাচ, পাথর, দড়ি, হুক, জিপার এবং আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হবে। এই বিষয়গুলো সব বুঝতে হবে।
ফলস্বরূপ, যুক্তিসঙ্গত মূল্যে এই উপকরণগুলি কোথায় পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। কোলকাতায় এবং এর আশেপাশে এই সমস্ত আইটেম পাইকারি দামে কোথায় পাওয়া যাবে? এগুলি কলকাতা জুড়ে পাওয়া যাবে, এবং আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে জিনিস ক্রয় করেন তবে অনেক দোকান আপনাকে একটি উল্লেখযোগ্য ছাড় দেবে। আপনি তাদের সাথে কথা বললে আপনি একটি ঋণ পেতে পারেন. বড়বাজার, খিদিরপুর এবং হাওড়ার সবকটিতেই পাইকারি দোকান রয়েছে যেখানে আপনি যেকোনো ধরনের কাপড় বা কাঁচামাল কিনতে পারেন।
৭. খাবারের হোটেলঃ
বিশ্বের অন্যতম লাভজনক শিল্প হল রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল সেক্টর। আপনি দক্ষতার সাথে রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল চালালে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। যাইহোক, এই শিল্পে আজকাল তীব্র প্রতিযোগিতা রয়েছে। সারাদেশে তৈরি হচ্ছে খাবার হোটেল। তবে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার খাবার হোটেল বা রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button