ব্যায়াম করার সঠিক নিয়মকানুন বাংলায়

ব্যায়াম করার সঠিক নিয়মকানুন বাংলায়
ব্যায়াম করার সঠিক নিয়মকানুন বাংলায়
ব্যায়াম করার সঠিক নিয়মকানুন বাংলায়- ঘুম থেকে ওঠার পর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে কয়েক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করুন। মনে রাখবেন কখনোই খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না। ভোরবেলা ব্যায়াম করার পরিকল্পনা থাকলে আগের দিনের সব কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যান। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর পর নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করে ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। ক্লিক করুন এখানে
ব্যায়াম করার আগে যা জানা জরুরি :
ব্যায়াম এর শুরুতেই আপনার ওজন, বিএমআই ইত্যাদি লিখে রাখুন, কেমন উন্নতি হচ্ছে তা প্রতিমাসে খেয়াল করুন
ভরপেট খাবার খেয়ে ব্যায়াম করা যাবে না। খাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা পর ব্যায়াম করুন
খুব টাইট পোশাক পরে ব্যায়াম করা ঠিক না। হালকা ঢিলেঢালা আরামদায়দ পোশাক পরে ব্যায়াম করুন
প্রথমেই ভারী ব্যায়াম করা ঠিক নয়। আগে ১০ মিনিট ওর্য়াম আপ করে নিন
ব্যায়াম করার সময় নিঃশ্বাস স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। কখনও খুব কষ্ট করে নিঃশ্বাস নেবেন না
যে কোনো ধরণের শারীরিক কষ্ট বা অসস্তি হওয়া মাত্র ব্যায়াম থামিয়ে দেবেন
সকাল অথবা সন্ধা যখনই হোক প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ব্যায়াম করুন
সব বয়সের মানুষের জন্যই নির্দিষ্ট ব্যায়াম রয়েছে। প্রয়োজনে চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন
গর্ভবতীদের জন্য কিছু ব্যায়াম রয়েছে, এগুলো নিয়মিত করলে আপনি থাকবেন মানসিক চাপমুক্ত এবং আপনার শরীরও থাকবে সুস্থ্ মন খারাপ নিয়ে ব্যায়াম করতে যাবেন না। প্রথমে মন ভালো করুন, আনন্দ নিয়ে ব্যায়াম করুন।
কখন ব্যায়াম করবেন ও কখন ব্যায়াম করবেন না-
কথায় বলে ‘শরীর ফিট তো আপনি হিট’। আর তাই শরীরটাকে ফিট রাখতে দরকার শরীরচর্চার। সুস্থভাবে বাঁচার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা উচিত। তবে কখন করতে হবে আর কখন করা যাবে না, অনেকেই জানেন না। এ বিষয়ে ডাক্তারের মতামত, ‘শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি। তবে ব্যায়ামের সময় নিয়ে অনেকেই পড়েন বিপত্তিতে। কেউ হয়তো ইচ্ছা থাকলেও সময় করে উঠতে পারেন না। আবার যখন সময় পান তখন ব্যায়াম করা ঠিক হবে কি না বুঝে উঠতে পারেন না। শুধু নিয়মিত ব্যায়াম করলেই যে শরীর সুস্থ থাকবে, সেটাও না।’ক্লিক করুন এখানে
কোন সময়ে ব্যায়াম করা ভালো, আর কখন ব্যায়াম করা ঠিক নয় সে বিষয়ে, পরামর্শ হলো—
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম সারা দিন ফুরফুরে রাখতে পারে।
এ ছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীরের ঘাম ঝরে, তাই নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা ভালো।
দুপুরবেলা বা বেশি গরমে ব্যায়াম করলে সহজেই ক্লান্ত মনে হতে পারে। তাই এ সময়ে ব্যায়াম না করাই ভালো।
অনেকে ব্যস্ততার জন্য সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তাঁরা রাতে ব্যায়াম করেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।
যাঁরা সারা দিন বাসায় থাকেন, তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় ব্যায়াম করতে পারেন।
ব্যায়ামের সময় অনেক বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। হালকা খাবার যেমন, একটা কলা বা বিস্কুট খেয়ে ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে।
সকালে ব্যায়াম করতে গিয়ে অনেকে ব্যায়াম শেষে ভরপেট খেয়ে বাসায় ফেরেন। এতে ব্যায়ামের কোনো উপকারিতা থাকে না।
যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাঁরা বেশি দিনের অবসর কাটালে বা কোথাও ঘুরতে গেলে খাবারের দিকে নজর রাখা উচিত। ঘুরতে গিয়ে বেশি দিন থাকার পরিকল্পনা করলে সুযোগ থাকলে টুকটাক ব্যায়াম করা যেতে পারে।
ব্যায়াম করার আগে বা পরপরই বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া ঠিক নয়। ব্যায়ামের পর একটু বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে পারেন।
খাবারের মেন্যু থেকে যতটা সম্ভব মিষ্টি, কোমলপানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাদ রাখাই ভালো। কারণ, এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম করা বৃথা হয়ে পড়বে।
নিজে অসুস্থ থাকলে ব্যায়াম করার দরকার নেই। বিশেষ করে গর্ভকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়।
যেকোনো ধরনের ব্যায়াম বা ডায়েট পরিকল্পনার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া উচিত।
খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত
অনেকেই আছেন যারা খাওয়ার পর সাথে সাথে ব্যায়াম করতে নেমে পড়েন। তাই অনেকে ইন্টারনেটে সার্চ করেন খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত। তাদের জন্য পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে ঠিক কতক্ষণ পর ব্যায়াম করলে কোন অসুবিধা হবে না। পারসোনা হেলথের প্রধান প্রশিক্ষক ফারজানা খানম পরামর্শ দিলেন ব্যায়ামের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ভারী খাবার খেতে। ভারী খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। আবার একদম খালি পেটেও ব্যায়াম করা যাবে না। ব্যায়ামের আধা ঘণ্টা আগে একদম অল্প করে ফল খাওয়া যেতে পারে।
কখন ব্যায়াম করা উচিত-
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালে ব্যায়াম সারা দিন ফুরফুরে রাখতে পারে। এ ছাড়া সন্ধ্যার আগে বিকেলটাও ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীরের ঘাম ঝরে, তাই নরম আবহাওয়াতেই ব্যায়াম করা ভালো।
ব্যায়াম না করলে কি হয়?
এখানে আমরা তুলে ধরেছি ব্যায়াম না করলে কি কি অসুবিধা হতে পারে। আপনি যদি ব্যায়াম না করেন তাহলে গ্রাম না করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা জেনে নিন আজকের পোষ্টে থেকে। শরীরের হাড়ের দৃঢ়তা বজায় রাখা, মাংসপেশীর সবলতা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহের স্বাভাবিক চলন ক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। তুমি যদি ব্যায়াম না করো তাহলে ধীরে ধীরে তোমার পেশীগুলো দুর্বল হয়ে পড়বে এবং শরীরে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। চলো জেনে নেই ব্যায়াম জিনিসটা কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন কি ব্যায়াম করা উচিত?(ব্যায়াম করার সঠিক নিয়মকানুন বাংলায়)
অনেকেই মনে করেন যে প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত নয়। তাদের আজকের এই পোস্টের তাদের প্রশ্নের উত্তর উল্লেখ করা হয়েছে। জেনে নিন প্রতিদিন কি ব্যায়াম করা উচিত কিনা। প্রতিদিন করা অবশ্যই উচিত। কারণ ব্যায়াম করলে আমাদের শরীর এমন একটি পর্যায়ে যায় যেটা আপনি টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না।
সর্বশেষ কথা-
আশা করি আজকের পোস্ট এর সাহায্যে ব্যায়াম করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আজকের এই পোস্ট যদি আপনাদের ভালো লেগে তাহলে মনে করব আমাদের এ লেখা সাথক হয়েছে ।