Health

ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিসের কারণ ও লক্ষণ ।

ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিসের কারণ ও লক্ষণ ।

 

ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিসের কারণ ও লক্ষণ

ডায়াবেটিস কি ?

ডায়াবেটিস মেলিটাস হরমোন দ্বারা সৃষ্ট একটি অবস্থা। যখন শরীরের অগ্ন্যাশয় পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা শরীর যে ইনসুলিন উৎপন্ন করে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে এই রোগটিকে ‘ডায়াবেটিস’ বা ‘ডায়াবেটিস’ বলা হয়।

ডায়াবেটিস ফর্মগুলি কী কী? বাংলায় ডায়াবেটিসের প্রকারভেদ

 

১. ডায়াবেটিস অল্পবয়সী পুরুষ এবং ২০ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে টাইপ ১ ইনসুলিন তৈরি হয় না।

২. ডায়াবেটিস বেশিরভাগ লোককে প্রভাবিত করে যাদের ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিস রয়েছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন তৈরি করে। যাইহোক, এটি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে না বা শরীর যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।

 

 

কিন্তু প্রথমেই কি ডায়াবেটিস হয়? সাধারণত, আমাদের ডায়াবেটিস বিভিন্ন দৈনন্দিন রুটিনের কারণে হয়ে থাকে।

 

নিয়মিত ব্যায়াম না করাঃ

ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারন হল নিয়মিত ব্যায়াম না করা । নিয়মিত ব্যায়ামের করলে ডায়াবেটিস না হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে ।(ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিসের কারণ ও লক্ষণ )

ঘুম না হয়াঃ

প্রতিদিনের কাজের পর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ডায়াবেটিস বাড়ে। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, ঘুমের অভাব রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়। তাই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে দিনে ৮  ঘণ্টা ঘুমাতে হবে ।

রাতে বেশি খাওয়া:

গবেষণা বলছে,রাতে অল্প খাবার খেতে হবে । সম্ভব হলে রাতে ভাত না খেয়ে রুটি খেতে হবে।  রাতে বেশি খাওয়া, খাবার পর পরই ঘুমাতে যাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।

মানসিক চাপ:

ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রধান কারণ হল অতিরিক্ত মানসিক চাপ।  পারিবারিক সমস্যা এবং উচ্চ কাজের চাপের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।(ডায়াবেটিস কি ? ডায়াবেটিসের কারণ ও লক্ষণ )

মিষ্টি জাতীয় খাবার :

সকল প্রকার মিষ্টি জাতীয় খাবার  ডায়াবেটিসের অন্যতম প্রধান কারণ । গবেষণায় বলা হয়, বাজারে যেসব জিরো ক্যালরি নামের বিকল্প চিনি পাওয়া যায় তার প্রায় সবগুলোতেই অতিরিক্ত সোডা পাওয়া গেছে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই  ডায়াবেটিসের  থেকে মুক্তি পেতে মিষ্টি জাতীয় খাবার  এড়িয়ে চলুন ।

 

ডায়াবেটিস কারণগুলো কি? বাংলায় ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো কি কি ?

 

  •  ঘন ঘন তৃষ্ণার্ত হয়ে যাওয়া এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া
  • ওজন কমে যাওয়া (বেশি খাওয়ার পরেও ওজন না বাড়া)
  • দুর্বলতা (সামান্য পরিশ্রমেই আচ্ছন্নতা ও ক্লান্তি)
  • ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ আসা এবং প্রচুর প্রস্রাব হওয়া
  • ক্ষুধা বৃদ্ধি
  • দৃষ্টি ঘোলা হয়ে যাওয়া
  • ঘন ঘন সংক্রমণ, ক্ষত আরোগ্য হতে দেরি হওয়া।
  • দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ফাঙ্গাস সংক্রমণ হওয়া।
  • বিশেষ করে যেসব অংশ ঢেকে থাকে সেসব অংশে ঘন ঘন চুলকানি হওয়া।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button