কর্ণফুলী টানেলের আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব

কর্ণফুলী টানেলের আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
কর্ণফুলী টানেলের আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বঃ
কর্ণফুলী টানেলের আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব– কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দুই নল, চার লেন বিশিষ্ট টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্ত এই টানেলের মাধ্যমে যুক্ত হবে। ৩.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ, দুটি চার লেনের টিউব চালু হলে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চিত্র এবং সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। কর্ণফুলী টানেলের আশেপাশে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘এক শহর দুই শহর’ তৈরি করছে চট্টগ্রাম। এটি নতুন অর্থনৈতিক সুযোগের পথ তৈরি করবে। ক্লিক করুন
কর্ণফুলী টানেল নির্মিত হলে এর ফলে শিল্পোন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে, পর্যটন শিল্পের প্রবৃদ্ধি হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে-
(১) কর্মসংস্থানের ব্যাপক বৃদ্ধি হবে ।
(২) রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
(৩) দারিদ্র্যের অবসানের পাশাপাশি, জাতি সম্পূর্ণ আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অনুভব করবে।
(৪) জিডিপি-র উপর ব্যাপকভাবে অনুকূল প্রভাব ফেলবে।
(৫) কর্ণফুলী টানেল এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হবে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে একটি নতুন যোগাযোগ অবকাঠামো তৈরি করবে।
(৬) চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর এবং পশ্চিম দিকে বিমানবন্দরের সাথে একটি সাধারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্মাণ করা হবে, পাশাপাশি প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত ও উন্নত করা হবে।
(৭) পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প থেকে চট্টগ্রাম বন্দর, বিমানবন্দর এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের প্রক্রিয়া সহজতর করা হবে। ভ্রমণের সময় ও খরচও কমে যাবে।
(৮) টানেল রোডটি মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, আনোয়ারার চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, বে-টার্মিনাল এবং মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনালকে সংযুক্ত করবে।
(৯) মেরিন ড্রাইভ কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে কর্ণফুলী টানেল হয়ে যাবে। পরে এটি মিয়ানমার হয়ে চীনের কুনমিং সিটি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে।
(১০) চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার একে অপরের 15 কিলোমিটার কাছাকাছি হবে এবং রাজধানী ঢাকা 50 কিলোমিটার দূরে হবে।
(১১) এই টানেলটি মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর টার্মিনাল এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য সহজ সংযোগের অনুমতি দেবে।
(১২) আনোয়ারা উপজেলায়, এক্সক্লুসিভ চাইনিজ ইকোনমিক জোন এবং কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হবে।
সর্বোপরি, জাতির অর্থনীতি নতুন উচ্চতায় প্রসারিত হবে। উৎপাদন ও পর্যটন খাত আমূল রূপান্তর অনুভব করবে।
বাংলাদেশ আরেকটি ধাক্কার অপেক্ষা করছে।