Essay

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ রচনা

 

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক  দুর্যোগ/ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায়গৃহীত পদক্ষেপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাংলাদেশ । [ঢা বো.-০৮, ১৩, কু. বো.-০৭, চ. বো:-০১, রা. বো.-০৬]

ভূমিকাঃ

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ –  বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। ভৌগোলিক অবস্থান ও জলবায়ুর কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ দেশের একটি পরিচিতি দৃশ্যপট। তীব্রতা ও ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতায় বাংলাদেশের প্রাকৃতির দুর্যোগ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। প্রায় প্রতিবছরই এ দেশে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দেয়। বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, টের্নেডো, ভূমিকম্প, নদীভাঙন, আর্সেনিক দূষণ ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিবছরই আমাদের জীবন সম্পদ ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতিসাধন করে থাকে। এর ফলে জনগণ চরম দুর্ভোগ পোহায়, ব্যক্তি ও পরিবারের সম্পদ বিনষ্ট হয়, বিপুলদ পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়, দেশ ও জাতির উন্নয়নের ধারা বিঘ্নিত হয় এবং পরিবেশের দ্রুত অবনতি ঘটে। দুর্যোগ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ : দুর্যোগের সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিপড বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, “Disaster is an event, natural or man made, that seriously disrupts the normal functions of the civil society” মোট কথা প্রাকৃতিক জীবনধারাকে ব্যাহত করে, মানুষের সম্পদ ও পরিবেশের এমনভাবে ক্ষতিসাধন করে যার ফলে। আক্রান্ত জনগোষ্ঠীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোকাবেলা করতে হয়, তা-ই দুযোর্গ। তার প্রাকৃতিক কারণে যে সকল দুর্যোগ সংঘটিত হয় সেগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ/কয়েকটি প্রাকৃতিক ক:প্রাকৃতিক দুর্যোগের স্বরূপঃ

ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক খেয়ালি আচারণের কারণে যে সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশে ভয়াবহ রূপ। পরিগ্রহ করে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, খরা, অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস, টর্নেডো, অগ্নিকাণ্ড, মহামারী, নদীভাঙন, আর্সেনিক দূষণ ইত্যাদি। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে দেখা দেয়। প্রকৃতি কখনো তার হয়ে ওঠে।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ
 বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায় প্রতিবছরই বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয় বাংলাদেশ। এক হিসাব দেখা যায়, বিগত ১০০ বছরে এ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ৫৮টি ঘূর্ণিঝড়; ৫০ বছরে ৫৩টি বন্যা, যার মধ্যে ৬টি মহাপ্লাবন, ১৩৫ বছরে সংঘটিত হয়েছে প্রায় ২০টি বড় ধরনের ভূমিকম্প। ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৯৭ সালের জুন পর্যন্ত এ দেশে ছোট ও বড় ধরনের ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস ও কালবৈশাখীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮ টি এবং প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ৬ থেকে ৮ লক্ষ এবং প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বিগত দশকসূহের মধ্যে ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬৪, ১৯৭৪, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৮ সালের বন্যা ছিল ভয়াবহ। নিচে বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোহ সম্পর্কে আলাচনা করা হল:
বন্যা:
এদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে বন্যার কথা। কিছু দুর্যোগ আছে এমন যে তার সঙ্গে মানুষ নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে; যেমন ছোটখাট ধরনের প্রাবন যাকে সচরাচর চাষীরা বলে ‘বর্ষা’। আবার প্লাবন যখন আসে বিশাল রূপ নিয়ে তখন সেটা হয়ে দাঁড়ায় “বন্যা” ।
বন্যার কারণ:
যে সকল কারণে বন্যা সংঘটিত হয়ে থাকে তা নিম্নরূপ:
১. হিমালয়ের নিম্নচালে অবস্থান।
২.হিমালয় পর্বতে বরফ গলন ।
৩. ভূ-তাত্তিক কাঠামো অবস্থান।
8. জালিকাসদৃশ্য নদী প্রণালী।
৫. বায়ুপ্রবাহ।
৬. ভূমিকম্প।
৭. জলাবদ্ধতা।
৮. নদী ভরাট।
৯.গ্রীন হাউস প্রতিক্রিয়া ।
১০. সভ্যতা ও শহরায়ন।
১১. সড়ক ও বসতি নির্মাণ।
১.যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত।
২.নদীর তলদেশ ভরাট।।
৩. প্রাণহানি।
8. জালিকাসদৃশ্য নদী প্রণালী ।
৫. খাদ্যভার সৃষ্টি।
৬.উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত।
৭. বৈদেশিক মুদ্রার্জন হ্রাস।
৮. দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি ।
ঝড়-ঝঞা, টর্নেডো ও সাইক্লোন:
প্রলয়ংকরী ঝড়-ঝঞা, টর্নেডো, সাইক্লোন ইত্যাদি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভৌগোলিক দিক। থেকে বাংলাদেশের অবস্থানই এমন যে, নানা রকম প্রাকৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশের উত্তর দিকে সরে এসে পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭০ ও ১৯১১ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রচণ্ড সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসের কথা স্মরণ করলে ভয়ে গা শিউরে ওঠে। ১৯৭০ সালের সাইক্লোন ও জলোচ্ছাসে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। ১৯১১ সালের সাইক্লোন ও জলােচ্ছ্বাসে অন্তত দেড় লক্ষ মানুষের প্রাণ হারায়। এছাড়া বহু সম্পদের ক্ষতি হয়।
নদী ভাঙন:
বাংলাদেশের আরেকটি অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ নদীভাঙন। নদীর জন্য যা খেলা মানুষের জন্য তা হয়ে ওঠে চরম । দুর্ভোগ ও দুর্যোগের। এর ফলে উজাড় হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, মাঠের পর মাঠ। পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, কুমিল্লা। প্রভৃতি জেলায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অসংখ্য মানুষ হচ্ছে ঘরছাড়া।
খরা-মরুকরণঃ
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে খরা দেখা দিলে কৃষি মারাত্মক হুমকির মুখোমুখি এসে দাঁড়ায়। ফলে জনদুর্ভোগের অন্ত থাকে না। এর ফলে দেশের ধীরবে মরুকরণ শুরু হয়েছে। কখনো কখনো খরায় দুর্ভিক্ষ ও মহামারী দেখা দেয়।
লবণাক্ততা:
সমুদ্র উপকূলীয় উপকূলীয় জেলাসমূহে লবণাক্ততার আক্রমণ দিন দিন তীব্রতর হয়ে উঠছে। সমুদ্রের লোনা পানি। ফসলের ক্ষেতে ঢুকে পড়ে জমির উর্বরতা নষ্ট করছে, ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।
অন্যান্য দুর্যোগঃ
বন্যা-ঝড়-ঝঞা-টর্নেডো-সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, নদীর ভাঙন, জমিতে লবণাক্ততার আক্রমণ, খরা ইত্যাদি ছাড়াও বাংলাদেশে ভূমিকম্প, আর্সেনিক দূষণ, শিলাবৃষ্টি, গ্রিন হাউস প্রতিক্রিয়ার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিদ্যমান। ভূমিকম্পের ফলে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মাঝে মাঝে প্রাণহানিও ঘটে। সাম্প্রতিক কালে আর্সেনিক দূষণ এক মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বাংলাদেশের অনেক নিচু অঞ্চল ডুবে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষেতের পাকা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ:
৫৮৬ অন্যান্য দুর্যোগঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পেছনে মানবসৃষ্ট এবং প্রকৃতিসৃষ্ট বেশিকিছু কারণ রয়েছে। যে সকল প্রাকৃতিক কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে তা নিম্নরূপ :
ক) পরিবেশগত ভারসাম্যের অবনতি।
খ) মাত্রাতিরিক্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ।
গ) ভৌগোলিক আবহাওয়ার পরিবর্তন ।
ঘ) ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া।
ঙ) নির্বিচারে বন উজাড়।
চ) সময়োপযোগী সুষম বৃষ্টির অভাব ।
যে সকল মানবসৃষ্ট কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হয় তা নিম্নরূপ:
ক) অপরিকল্পিক ও মাত্রাতিরিক্ত জমি চাষাবাদ।
খ) জনসংখ্যা বৃদ্ধি ।
গ) বনভূমি উজাড় ।
ঘ) পরিবেশ দুষণ ।
ঙ) নদীভরাট।
চ) অপরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা ।
দুর্যোগ প্রতিরোধের উপায়:
প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের সাধ্যাতীত কারণ ব্যতীত তার খেয়ালখুশি মত চলে। তাই প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা কখনোই উড়িয়ে যায় না। সুতরাং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে জানমাল রক্ষাই দুর্যোগ মোকাবেলার মূল কথা। দুর্যোগ মোকাবেলার কয়েকটি দিক নিয়ে চিহ্নিত করা হল-
১.জাতীয় ভিত্তিতে দুর্যোগ মোকাবেলা করার নীতিমালা, পরিকল্পনা ও কার্যপদ্ধতি প্রণয়ন করা।
২. জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা।
৩. দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
8. তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থাকে উন্নত করা।
৫.সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ এলাকাগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা।
৬. বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগানো।
৭.পরীক্ষিত ও পদ্ধতির ভিত্তিতে যথাসময়ে সতর্ক করে দেওয়ার ব্যবস্থা ।
৮.আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় দুর্যোগ পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হবে।
৯. উপকূলীয় এলাকায় গড়ে তুলতে হবে নিবিড় সবুজ বেষ্টনী
১০. নদী ড্রেসিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
১১. উপকূলীয় এলাকায় প্রয়োজনীয় বাঁধ দিয়ে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ করতে হবে।
১২. ব্যাপকতার বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা:
প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মেনে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। প্রকৃতিকে যেহেতু নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, তাই দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম রাখার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ। বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন গঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী দল, এমনকি সর্বস্তরের মানুষ তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে- খাদ্য ও কৃষ্টি সংস্থা (FAO), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICCF), জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি (XFP), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং জাতিসংঘ উদ্বান্ত সংক্রান্ত হাই কমিশনারের দপ্তর । (UNHICR)। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রায় দুশ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দুর্যোগ পরবর্তী পুনর্বাসন কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করে থাকে। ক্লিক করুন এখানে
দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ:
দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার জাতীয় ভিত্তিতে নানা প্রকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। দুর্যোগ মানবজীবনে বয়ে আনে অবর্ণনীয় দুঃখ- যন্ত্রণা। দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতিতে দেশের অবকাঠামো নড়বড় হয়ে যায়, অচল হয়ে পড়ে দেশের অর্থনীতির চাকা। তাই বাংলাদেশেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য জাতীয় ভিত্তিতে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণীত হয়েছে।
১.স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্তুতিও প্রশমন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা দান প্রভৃতির উদ্দেশ্য ১৯৯৩ সালে গঠিত হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরো। দুর্যোগের কারণে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হাসসহ দুর্যোগ উত্তরকালে জাতীয়কালে জাতীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা অর্জন ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করাই এ মূল লক্ষ্য।
২. ১৯৯৫ সালে একটি জাতীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্য-পরিবল্পনা (NCMAP) গৃহীত হয়েছে।
৩.বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছেও সরকার প্রয়োজনে সাহায্যে চাচ্ছে।
৪. বিশেষ করে ১৯৮৭, ‘৮৮ ও ‘৯৮-র বন্যা এবং ‘৯১-এ ঘূর্ণিঝড় দুর্গতদের জন্য বাংলাদেশের আহবানে ব্যাপক আকারে বৈদেশিক সাহয্যে এসেছে।
উপসংহার:
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। নানা কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ দেশকে অগ্রগতির ধারা থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা প্রতি বছরই এদেশের জনগণের জান-মাল, সহায়-সম্পত্তি, প্রকৃতি ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। যদিও এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে কখনো স্তব্ধ করা যাবে না, তবুও পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মতো এদেশেও পরিকল্পিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার দ্বারা এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য সরকারকে যেমন দুর্যোগ প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, তেমনি দেশের জনগণকেও সচেতন হয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় অধিকতর সচেষ্ট হতে হবে।
Seen by Salma Sultana at 10:44 AM
     সাদিক

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button